টেকনাফ প্রতিনিধি:
কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফের গহীন পাহাড়ে অপহরণ প্রতিরোধ ও মাদক নির্মূলের লক্ষ্যে যৌথ বাহিনী অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ দেশি অস্ত্র ও মাদক উদ্ধার করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৮ মে) সকাল থেকে উপজেলা দুটির বিভিন্ন পাহাড়ি এলাকায় এই অভিযান পরিচালিত হয়।
র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) জানায়, উখিয়া ও টেকনাফের দুর্গম পাহাড়ে সংঘটিত অপহরণের ঘটনা এবং মাদকের বিস্তার রোধে এই বিশেষ অভিযান চালানো হয়েছে। অভিযানে র্যাব, পুলিশ, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি), আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন) এবং বনবিভাগের পাঁচ শতাধিক সদস্য অংশ নেন।
অভিযানকালে সন্ত্রাসীদের আস্তানা থেকে উদ্ধার হওয়া অস্ত্রের মধ্যে রয়েছে – ২টি দেশি তৈরি এলজি, ১টি ওয়ান শুটার গান, ৪টি তাজা শর্টগানের কার্তুজ, ৮টি তাজা ৭.৬২ মিমি কার্তুজ। এছাড়াও ২০৫০ পিস ইয়াবা, ১০০ গ্রাম গাঁজা, ৩টি ক্রিজ, ২টি রামদা, ২টি দা এবং ১টি ছুরি উদ্ধার করা হয়েছে।
র্যাব-১৫ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. কামরুল হাসান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, সম্প্রতি এই অঞ্চলে মাদক কারবার এবং অপহরণের ঘটনা আশঙ্কাজনকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। গত তিন মাসে কক্সবাজার জেলায় প্রায় ৪০টি অপহরণের ঘটনা ঘটেছে, যার মধ্যে ৩০টি টেকনাফ ও উখিয়াতেই সংঘটিত হয়েছে। ডাকাতদের আস্তানা গুঁড়িয়ে দেওয়া এবং মাদকের প্রবেশ পথ বন্ধ করার লক্ষ্যেই এই সমন্বিত অভিযান চালানো হয়েছে। এই অভিযান চলমান থাকবে বলেও জানান তিনি।
টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন জানান, উখিয়া ও টেকনাফের হোয়াইক্যং, হ্নীলা ও বাহারছড়া ইউনিয়নের বিভিন্ন পাহাড়ে অপহরণ প্রতিরোধ, মাদক নির্মূল এবং ডাকাত ও মানবপাচারকারীদের বিরুদ্ধে যৌথ বাহিনীর এই অভিযান অব্যাহত রয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে অপহরণকারী ও ডাকাত দলের সদস্যরা সুযোগ বুঝে নিরীহ মানুষদের অপহরণ করে পাহাড়ে আটকে রাখছিল। উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের নির্দেশনায় সকল বাহিনীর সমন্বয়ে এই অভিযান পরিচালিত হচ্ছে।
উল্লেখ্য, টেকনাফের রঙ্গী খালি পাহাড় এবং কুদুম গুহা পাহাড়ের বিভিন্ন স্থানে এই যৌথ অভিযান পরিচালিত হয়। তবে, এই অভিযানে কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি।