টেকনাফ প্রতিনিধি:
মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সংঘাতের তীব্রতা বৃদ্ধির সাথে সাথে বাংলাদেশে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের অনুপ্রবেশ উদ্বেগজনকভাবে বেড়েছে। গত নভেম্বর থেকে এ পর্যন্ত প্রায় ১ লাখ ১৩ হাজার রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে, যার মধ্যে অধিকাংশই জুন মাসের পরের।
শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মো. মিজানুর রহমান জানান, পালিয়ে আসা রোহিঙ্গারা মূলত আরাকান আর্মির (এএ) নির্যাতনের শিকার। রোহিঙ্গারা হত্যাকাণ্ড, গুম, নারকীয় নির্যাতন এবং মানবঢাল হিসেবে ব্যবহার ও শ্রমিক হিসেবে নিয়োগের মতো অমানবিক ঘটনার শিকার হচ্ছেন। তাদের ফেলে আসা বাড়িঘরে অন্য সম্প্রদায়ের লোকেরা বসবাস করছে বলেও অভিযোগ করেছেন তারা।
কমিশনার মিজানুর রহমান নতুন শরণার্থীদের আবাসনের ব্যবস্থা করা নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। বর্তমানে বাংলাদেশে আশ্রিত রোহিঙ্গার সংখ্যা কমপক্ষে ১৩ লাখে দাঁড়িয়েছে।
আরাকান রোহিঙ্গা সোসাইটি ফর পিস অ্যান্ড হিউম্যান রাইটসের চেয়ারম্যান মো. জুবায়ের আরাকান আর্মির বিরুদ্ধে রোহিঙ্গাদের ওপর নির্মম অত্যাচার, জোরপূর্বক শ্রমে নিয়োগ ও বাড়িঘর থেকে উচ্ছেদের অভিযোগ করেছেন। তিনি এই পরিস্থিতিতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের জরুরি হস্তক্ষেপ ও নিরপেক্ষ তদন্তের আহ্বান জানিয়েছেন।
উল্লেখ্য, আরাকান আর্মি বর্তমানে রাখাইন রাজ্যের অধিকাংশ নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে এবং এর পর থেকেই রোহিঙ্গাদের উপর নির্যাতনের মাত্রা আরও বেড়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এই পরিস্থিতিতে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের নতুন ঢেউ দেখা দিয়েছে।