কুতুবদিয়ার কান্না
-আলী ওসমান শেফায়েত
কুতুবদিয়া কাঁদে, সাগরের তীরে,
অস্তিত্বের সংকটে, বাঁচার মিনতি ঘিরে।
দুই লক্ষ জীবন, বর্ষার আতঙ্কে কাঁপে,
জোয়ারের জলে ভাসে, ক্ষুধার্ত স্বপ্নে চাপে।
বিদ্যুৎ এসেছে, বাঁধ তবু দূরে রয়,
অর্থনীতি কাঁদে, মানুষ নির্ভয় নয়।
বিগত দিনের ভুল, আজও বয়ে বেড়ায়,
ফেরি সংযোগের আশা, শুধু পথ চেয়ে রয়।
সুপার ডাইকের বাজেট, শুধু কথার ফুলঝুরি,
বন্যা আর জলোচ্ছ্বাস, নিত্য আনাগরি।
এ ভিক্ষা নয় কারো, এ তো অধিকারের ডাক,
ফেরি সার্ভিসও তাই, সময়ের নির্ভুল হাঁক।
গন্ধকের খনি বুকে, সাগরের অপার দান,
পূর্ণাঙ্গ বন্দর সেথা, জাগাতে পারে প্রাণ।
‘ব্লু ইকোনমি’র কেন্দ্র, সম্ভাবনা অপার,
তবু কুতুবদিয়াবাসী, বাঁচে শুধু হাহাকার।
সেনাবাহিনীর হাতে, বাঁধের হোক নির্মাণ,
জীবন আর দ্বীপ রক্ষা, এই শুধু অভিধান।
জলবায়ুর শিকার দ্বীপ, ক্রমশ বিলীন হয়,
ইতিহাসের ক্ষতি এ, ভবিষ্যৎও কাঁদে রয়।
টেকসই বাঁধ চাই, ক্ষয়রোধের বিজ্ঞান,
উপকূলের সুরক্ষা, জরুরি প্রয়োজন।
জাতীয় প্রকল্প হোক, বাজেটের হোক মুক্তি,
কুতুবদিয়ার কান্না, যেন হয় মুক্তির উক্তি।
এ শুধু নয় কোনো দ্বীপের, এ জাতীয় ব্যর্থতা,
‘৯১-এর ঘূর্ণিঝড়, কেড়েছিল নীরবতা।
অর্ধ লক্ষ প্রাণ গেল, স্মৃতি আজও কাঁদায়,
ভিটেমাটি হারানো, নিয়তির নির্মম দায়।
আর কতকাল রবে, এই অসহায়ত্বের শিকার?
কুতুবদিয়ার বাঁচার, নেই কি অধিকার?
দুর্দশার কথা কবে, পৌঁছাবে দ্বারে দ্বারে?
উত্তর কি দেবে না কেউ, এই বোবা কান্নার?
প্রধান উপদেষ্টা শোনেন, কর্তৃপক্ষের কানে যাক,
সুপার ডাইকের বাঁধ, হোক এবার নির্ভুল হাঁক।
অস্থায়ী বালির বাঁধ নয়, আধুনিক সমাধান চাই,
মগনামা-কুতুবদিয়া রুটে, ফেরিও এখন চাই।
জাগ্রত হও এবার, তোলো মুক্তির গান,
কুতুবদিয়ার আকাশে, উঠুক নবীন প্রাণ।
সাহসের পতাকা তোলো, ভেঙে ফেলো ভয়,
কুতুবদিয়ার জয় হোক, এই তো সময় হয়