কুতুবদিয়া প্রতিনিধি:
খুলনা (ঝালকাঠি) যাওয়ার পথে হাতিয়ার দক্ষিণে মেঘনা উপকূলের ঠেঙ্গারচর লাল বয়া সংলগ্ন এলাকায় কুতুবদিয়া থেকে লবণ নিয়ে যাওয়া একটি ট্রলার ডুবে যাওয়ার ঘটনায় নিখোঁজ ৮ জন মাঝি-মাল্লার মধ্যে জীবিত উদ্ধার হওয়া ৫ জনকে দেখতে হাসপাতালে ছুটে যায় সামাজিক সংগঠন দ্বীপবর্তিকা।
আজ শুক্রবার (৩০ মে) নোয়াখালী ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট সদর হাসপাতালে আহতদের দেখতে যান দ্বীপবর্তিকার সভাপতি রোবাইত হোসাইন রাকিব এবং প্রচার সম্পাদক মোস্তাকিম সাদিক। তারা উদ্ধার হওয়া ব্যক্তিদের শারীরিক অবস্থার খোঁজখবর নেন এবং চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলেন।
উদ্ধারকৃত পাঁচজনের মধ্যে মুবিন নামে একজনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে আইসিইউতে স্থানান্তর করা হয়েছে। তবে বর্তমানে তার শারীরিক অবস্থার উন্নতি হচ্ছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। অন্য চারজনকে মেডিসিন ওয়ার্ডে রাখা হয়েছে, এবং তারা আশঙ্কামুক্ত।
আহত মাঝি-মাল্লারা জানান, ২৮ মে (বুধবার) সকাল ১১টার দিকে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে তাদের লবণবোঝাই ট্রলারটি। প্রায় ৪০ ঘণ্টা সাগরে ভেসে থাকার পর, ৩০ মে (শুক্রবার) ভোরে তারা নোয়াখালীর চেয়ারম্যান ঘাট এলাকায় স্থানীয়দের দ্বারা উদ্ধার হন।
তারা আরও জানান, নিখোঁজ তিনজনের মধ্যে দুইজন তাদের চোখের সামনেই মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুর পরও সহকর্মীরা এক ঘণ্টার বেশি সময় তাদের দেহ ধরে রাখার চেষ্টা করেন, কিন্তু শেষ পর্যন্ত তা সম্ভব হয়নি। আর মুর্শেদ নামের একজন মাঝি অতিরিক্ত ঢেউয়ের আঘাতে ভেসে যান এবং তার আর খোঁজ মেলেনি।