দলের নিবন্ধন এবং প্রতীক ফিরে পাওয়ার জন্য বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর করা আপিলের রায় আজ ঘোষণা করা হবে। প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের ৪ সদস্যের বেঞ্চের কার্যতালিকায় মামলাটি এক নম্বরে রয়েছে।
এর আগে, গত ১৪ মে রাজনৈতিক দল হিসেবে জামায়াতে ইসলামীর বাতিল হওয়া নিবন্ধন ও প্রতীক ফিরে পেতে আপিলের শুনানি শেষ হয়। শুনানি শেষে রায় ঘোষণার জন্য আজকের দিন ধার্য করা হয়েছিল।
আদালতে জামায়াতের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার এহসান আবদুল্লাহ সিদ্দিক। তাকে সহযোগিতা করেন ব্যারিস্টার ইমরান আবদুল্লাহ সিদ্দিক, অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির ও ব্যারিস্টার নাজিব মোমেন।
আদালত কক্ষে জামায়াত নেতাদের মধ্যে দলটির ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা এটিএম মাছুম, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল অ্যাডভোকেট এহসানুল মাহবুব জোবায়ের, অ্যাডভোকেট মোয়াজ্জেম হোসেন হেলাল, নির্বাহী পরিষদ সদস্য অ্যাডভোকেট মতিউর রহমান আকন্দ, মোবারক হোসেন, জামায়াতের ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আমির নুরুল ইসলাম বুলবুল এবং উত্তরের আমির মো. সেলিম উদ্দিন উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের নায়েবে আমির অ্যাডভোকেট ড. হেলাল উদ্দিনও উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, গত বছরের ২২ অক্টোবর দেশের সর্বোচ্চ আদালতের আপিল বিভাগ রাজনৈতিক দল হিসেবে জামায়াতে ইসলামীর বাতিল হওয়া নিবন্ধন ফিরে পেতে খারিজ হওয়া আপিলটি পুনরুজ্জীবিত করেন। এর ফলে নিবন্ধন ও দলীয় প্রতীক দাঁড়িপাল্লা ফিরে পেতে জামায়াতের আইনি লড়াইয়ের পথ উন্মুক্ত হয়। প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন চার বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
এর আগে, ২০১৩ সালের ১ আগস্ট এক রিট আবেদনের নিষ্পত্তি করে হাইকোর্ট জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন বাতিল ও অবৈধ ঘোষণা করেন। পরবর্তীতে, ২০১৮ সালের ৭ ডিসেম্বর নির্বাচন কমিশন (ইসি) জামায়াতের নিবন্ধন বাতিল করে প্রজ্ঞাপন জারি করে। এই রায়ের বিরুদ্ধে জামায়াতে ইসলামী আপিল করলে, গত বছরের নভেম্বরে আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চ জামায়াতের প্রধান আইনজীবী অনুপস্থিত থাকায় আপিল খারিজ করে দেন।
এখন দেখার বিষয়, দীর্ঘ আইনি প্রক্রিয়া শেষে জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন ও প্রতীক ফিরে পাওয়ার আপিলের রায় আজ তাদের পক্ষে আসে কিনা। দেশব্যাপী এই রায়ের দিকে সকলের দৃষ্টি নিবদ্ধ রয়েছে।