জোয়ারের পানিতে কুতুবদিয়ার লোকালয় প্লাবিত: জনদুর্ভোগ চরমে

উপজেলা কক্সবাজার কৃষি জীবনযাপন পরিবেশ পর্যটন বিশেষ প্রতিবেদন ব্যবসা ও বাণিজ্য ভ্রমণ
ছবি: সংগৃহীত

বিশেষ প্রতিবেদন:

গত ২৭ ও ২৮ মে ঘূর্ণিঝড় শক্তির প্রভাব এবং অমাবস্যার জোয়ারের কারণে কক্সবাজার জেলার দ্বীপ উপজেলা কুতুবদিয়ার বিস্তীর্ণ এলাকা বঙ্গোপসাগরের জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হয়েছে। টানা দুই দিনের জোয়ারের পানিতে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে।

উপজেলার বায়ু বিদ্যুৎ এলাকা, কাহার পাড়া, পশ্চিম তাবলেরচর, কিরণ পাড়া, হায়দারপাড়া, কাজির পাড়া, কৈয়ারবিল এবং উত্তর ধুরুং মিয়ারাকাটা এলাকার বেড়িবাঁধের ভাঙা অংশ দিয়ে জোয়ারের পানি লোকালয়ে প্রবেশ করেছে। এতে ওইসব এলাকার বসতবাড়ি, রাস্তাঘাট ও ফসলি জমি পানিতে তলিয়ে গেছে। ক্ষতিগ্রস্ত মানুষ সীমাহীন দুঃখ-কষ্টে দিন কাটাচ্ছেন।

দীর্ঘদিন ধরে কুতুবদিয়ার দ্বীপবাসী একটি টেকসই ‘সুপার ডাইক’ বেড়িবাঁধ নির্মাণের জোর দাবি জানিয়ে আসছেন। যুগ যুগ ধরে দ্বীপের পশ্চিম অংশ ভাঙনের শিকার হয়ে জোয়ারে প্লাবিত হলেও, গত কয়েক বছর ধরে পূর্ব পাশেও জলোচ্ছ্বাস আঘাত হানছে। ১৯৯১ সালের প্রলয়ংকরী ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাসে দ্বীপ উপজেলার চারপাশের বেড়িবাঁধ বিধ্বস্ত হওয়ার পর থেকেই উপজেলাবাসী টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণের দাবি জানিয়ে আসছেন। এছাড়াও, পারাপারের জন্য দ্রুত ফেরি চালুর দাবিও ভুক্তভোগী দ্বীপবাসীদের পক্ষ থেকে করা হচ্ছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আসন্ন বর্ষায় দ্বীপের পশ্চিম অংশের বেড়িবাঁধ সংলগ্ন এলাকায় বসবাসরতরা চরম আতঙ্কে রয়েছেন। ভাঙনকবলিত বেড়িবাঁধ জরুরি ভিত্তিতে মেরামত না হওয়ায় ওইসব এলাকা মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, দ্বীপের মোট ৪০ বর্গ কিলোমিটার বেড়িবাঁধের মধ্যে প্রায় ২০ কিলোমিটারই ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে।

এ অবস্থায় কুতুবদিয়াবাসীর দীর্ঘদিনের দাবি মেনে একটি টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণ এবং পারাপারের জন্য ফেরি চালু করা এখন সময়ের দাবি। দ্রুত পদক্ষেপ না নিলে আসন্ন বর্ষায় জনদুর্ভোগ আরও বাড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *